Wellcome to National Portal
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd মার্চ ২০২৩

Frequently Asked Questions (FAQs) of MRT Line-6

হালনাগাদের তারিখ: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ক্রম

জিজ্ঞাস্য

উত্তর

১.

MRT Line-6 বা বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল কমলাপুর পর্যন্ত নির্মাণের পরিকল্পনা কী?

ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে ৬(ছয়)টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে Dhaka Mass Transit Company Limited (DMTCL) এর আওতায় একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার নিমিত্ত সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহণ করেছে। এই কর্মপরিকল্পনা অনুসরণে উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৭টি স্টেশন বিশিষ্ট বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল MRT Line-6 এর নির্মাণ কাজ Early Commissioning এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পুরোদমে এগিয়ে চলছে। MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনসম্মুখে শুভ উদ্বোধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে এই অংশে মেট্রে ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। ডিসেম্বর ২০২৩ মাসে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ এবং আগামী জুন ২০২৫ মাসে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশ উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।

২.

MRT Line-6 বা বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের ভাড়ার বিবরণী কী?

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন MRT Line-6 এর ভাড়ার তালিকা নিম্নরূপ:

ভাড়া (Fare)

  • ভাড়ার হার যাত্রী প্রতি কিলোমিটারে ৫.০০ (পাঁচ) টাকা;
  • সর্বনিম্ন ভাড়া যাত্রী প্রতি ২০.০০ (বিশ) টাকা;
  • উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রী প্রতি ভাড়া ১০০ (একশত) টাকা;

 

ছাড় (Discount)

  •  যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারেন;
  •  যাত্রীগণ MRT/Rapid Pass ব্যবহার করলে প্রতি যাত্রায় ১০% ছাড় পাবেন;
  •  ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচ্চতার শিশু্ অভিভাবকের সঙ্গে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবে; এবং
  • বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে একক যাত্রার টিকেটে ১৫% ছাড় পাবেন।

৩.

মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য কত ধরনের টিকেট/কার্ড রয়েছে?

মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য দুই ধরনের টিকেট/কার্ড রয়েছে। এগুলো হল:

  • একক যাত্রার টিকেট/কার্ড (Single Journey Ticket/Card)
  • এমআরটি পাস/র‌্যাপিড পাস (MRT Pass/Rapid Pass)

৪.

একক যাত্রার টিকেট/কার্ড ক্রয় এবং ব্যবহারের নিয়ম কী?

একক যাত্রার টিকেট/কার্ড ক্রয়ের নিয়ম

  • টিকেট ভেন্ডিং মেশিন (TVM) থেকে একবারে সর্বোচ্চ ০৫টি টিকেট ক্রয় করা যাবে;
  • টিকেট অফিস মেশিন (TOM) থেকেও একবারে সর্বোচ্চ ০৫টি টিকেট ক্রয় করা যাবে;

একক যাত্রার টিকেট/কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

  • টিকেট শুধুমাত্র ক্রয়ের তারিখে একবারের জন্য ব্যবহারযোগ্য;
  • প্রবেশ গেইটে টিকেটটি স্পর্শ (Touch) করার পর সর্বোচ্চ ১০০ মিনিট কার্যকর থাকবে;
  • প্রস্থানের সময় টিকেটটি অবশ্যই বহির্গমন গেটের স্লট (Slot) এ প্রবেশ করাতে হবে;
  • অনুমোদিত দূরত্ব বা সময়সীমা অতিক্রম করলে অতিরিক্ত ভাড়া প্রযোজ্য হবে;
  • হ্রাসকৃত মূল্যে ক্রয়কৃত টিকেট কোনোক্রমেই হস্তান্তরযোগ্য নয়;
  • টিকেটটি কোনো অবস্থাতেই স্টেশনের বাহিরে নেয়া যাবে না;
  • স্টেশনের বাহিরে একক যাত্রার টিকেট বহন করা দন্ডনীয় অপরাধ; এবং
  • ক্রয়ের তারিখে অব্যবহৃত টিকেট TOM কাউন্টারে জমা দিয়ে টাকা ফেরত নেয়া যাবে।

৫.

MRT Pass ক্রয় এবং ব্যবহারের নিয়ম কী?

MRT Pass ক্রয়ের নিয়ম

  • প্রতিটি মেট্রোরেল স্টেশনের টিকেট অফিস থেকে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে MRT Pass ক্রয় করা যায়। মেট্রোরেল স্টেশনে এবং DMTCL এর ওয়েবসাইট- www.dmtcl.gov.bd থেকেও ফরম সংগ্রহ করা যায়;
  • প্রতিটি MRT Pass এর প্রাথমিক ক্রয় মূল্য ৫০০(পাঁচশত) টাকা। জামানত ২০০ (দুইশত) টাকা (ফেরতযোগ্য) এবং ব্যবহার্য ৩০০ (তিনশত) টাকা; এবং
  • MRT Pass এর মেয়াদ ১০ (দশ) বছর এবং সর্বোচ্চ ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়।

 

MRT Pass ব্যবহারের নিয়ম

  • প্রবেশ ও বহির্গমন গেইটের নির্ধারিত স্থানে MRT Pass স্পর্শ (Touch) করে স্বাচ্ছন্দ্যে একাধিকবার যাতায়াত করা যায়। বহির্গমন গেটের স্লট (Slot) এ MRT Pass প্রবেশ করাতে হয় না;
  • একটি MRT Pass এ প্রতিবার শুধুমাত্র একজন ভ্রমণ করতে পারেন;
  • MRT Pass হতে ভ্রমন দূরত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া কর্তন করা হয়;
  • টিকেট অফিস মেশিন (TOM) অথবা টিকেট ভেন্ডিং মেশিন (TVM) থেকে MRT Pass রিচার্জ করা যায়; এবং
  • বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ নির্ধারিত কাউন্টার থেকে MRT Pass ক্রয় ও রিচার্জ করতে পারেন।

৬.

MRT Line-6 এর সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় ও অর্থের উৎস কী?

MRT Line-6 এর সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় হল:

মোট

:

৩৩,৪৭১.৯৯ কোটি টাকা

প্রকল্প সহায়তা

:

১৯,৭১৮.৪৭ কোটি টাকা

জিওবি

:

১৩,৭৫৩.৫২ কোটি টাকা

 

উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা Japan International Cooperation Agency (JICA) প্রকল্প সহায়তা প্রদান করছে।

৭.

MRT Line-6 মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতকরণের অগ্রগতি কী?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুসরণে MRT Line-6 মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার নিমিত্ত Detailed Design পর্যন্ত যাবতীয় কার্যক্রম, ভূমি অধিগ্রহণ ও পরিসেবা যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের পূর্ত কাজ শুরু করা হয়েছে।

৮.

বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল MRT Line-6 এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?

উদ্দেশ্য

:

ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময়-সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎ চালিত, দূরনিয়ন্ত্রিত ও পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন

গুরুত্ব

:

Fast Track

দৈর্ঘ্য

:

২১.২৬ কিলোমিটার

অবকাঠামোর ধরণ

:

উড়াল

রুট এ্যালাইনমেন্ট

:

উত্তরা ৩য় পর্ব - পল্লবী - রোকেয়া সরণির পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট - হোটেল সোনারগাঁও - শাহবাগ - টিএসসি - দোয়েল চত্ত্বর - তোপখানা রোড - মতিঝিল - জসিম উদ্দিন রোডের প্রথম অংশ হয়ে দক্ষিণ দিক দিয়ে সার্কুলার রোড সংলগ্ন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সম্মুখের সার্কুলার রোড।

স্টেশনের সংখ্যা

:

১৭ টি

স্টেশনসমূহ

:

উত্তরা উত্তর - উত্তরা সেন্টার - উত্তরা দক্ষিণ - পল্লবী - মিরপুর ১১ -   মিরপুর ১০ - কাজীপাড়া - শেওড়াপাড়া - আগারগাঁও - বিজয় সরণি - ফার্মগেট - কারওয়ান বাজার - শাহবাগ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - বাংলাদেশ সচিবালয় - মতিঝিল - কমলাপুর

যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা

:

ঘন্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক ৫ লক্ষ

মেট্রো ট্রেনের সংখ্যা

:

৬ কোচ বিশিষ্ট ২৪ সেট। তবে ভবিষ্যতে ৮ কোচে উন্নীত করা যাবে

কোচের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা

:

ক) মাঝের ৪টি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন

খ) ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন

 

প্রতিটি মেট্রো ট্রেনের সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা

:

২৩০৮ জন

মেট্রো ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি

:

৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ড (পিক আওয়ার)

মেট্রো ট্রেনের পরিচালন ব্যবস্থা

:

Communication Based Train Control (CBTC) System

সর্বোচ্চ পরিকল্পিত গতি

:

১০০ কিলোমিটার/ঘন্টা

মেট্রো ট্র্যাকের ধরণ

:

Dual Continuous Welded Rail

গেজ

:

স্ট্যান্ডার্ড গেজ (১৪৩৫ মিলিমিটার)

যাতায়াতের সময়

:

১৭টি স্টেশনে থেমে ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর

নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

:

২৬ জুন ২০১৬ তারিখ

প্রথম অংশের উদ্বোধন

:

২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ

 

৯.

মেট্রোরেলে মহিলা যাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য কী কী সুবিধা সংযোজিত আছে?

মেট্রোরেলে মহিলা যাত্রীগণের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে একটি স্বতন্ত্র মহিলা কোচ আছে। এতে প্রতি ট্রেনে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন মহিলা যাত্রী শিশুসহ যাতায়াত করতে পারেন। মহিলা যাত্রীগণ ইচ্ছা করলে অন্য কোচেও যাতায়াত করতে পারেন। গর্ভবতী মহিলা যাত্রীগণের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনে লিফটের ব্যবস্থা আছে এবং মেট্রো ট্রেনে আসন সংরক্ষিত আছে। এতে মহিলা যাত্রীগণ সহজে ও নিরাপদে কর্মক্ষেত্রে ও প্রত্যাশিত স্থানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতায়াত করতে পারছেন। মেট্রোরেল স্টেশনসমূহে মহিলা যাত্রীদের জন্য পৃথক বাথরুমের সংস্থান আছে এবং এতে শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের সুবিধা সংযোজিত আছে।

১০.

মেট্রোরেলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের (Persons with Special Need) যাতায়াতের জন্য কী কী সুবিধা রয়েছে?

বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল বা MRT Line-6 এ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের (Persons with Special Need) যাতায়াতের জন্য মেট্রো ট্রেনে এবং মেট্রো স্টেশনে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা সংযোজিত আছে। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাতে Ticket Office Machine (TOM) দ্বারা সহজে টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন সেই জন্য অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় টিকেট বুথ  রয়েছে। একইভাবে হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীগণ Ticket Vending Machine (TVM) ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের পেইড জোনে সহজে প্রবেশ এবং বাহিরের নিমিত্ত হুইল চেয়ারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রশস্ত Automatic Fare Collection (AFC) গেইট রয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের লিফ্‌টে সহজে উঠা-নামার সুবিধার্থে লিফ্‌টের অভ্যন্তরে ধরার হাতল, নিম্ন উচ্চতায় কন্ট্রোল প্যানেল ও নিজের অবস্থান বোঝার জন্য আয়না রয়েছে। লিফ্‌টের কন্ট্রোল প্যানেলে ব্রেইল পদ্ধতির বোতাম রয়েছে। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে স্টেশনে উঠা-নামার জন্য লিফ্‌টের সম্মুখে ঢালু পথ (Ramp) আছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য Platform-এ বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ওয়াশ রুম রয়েছে। মুক ও বধির যাত্রীগণ ডিজিটাল নির্দেশিকা অনুসরণ করে স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রো স্টেশনে ও মেট্রো ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন। অন্ধ যাত্রীদের মেট্রো স্টেশনে চলাচলের জন্য ব্লাইন্ড স্টিক ব্যবহারের সুবিধার্থে হলুদ রঙয়ের ট্যাকটাইল পথের ব্যবস্থা রাখা আছে। টয়লেট, লিফ্‌ট ও অগ্রাধিকার আসন সহজে বোঝার জন্য প্লাটফর্ম ও মেট্রো ট্রেনে শনাক্তকারী চিহ্ন রয়েছে। স্টেশন এলাকায় এবং মেট্রো ট্রেনের অভ্যন্তরে অডিও এবং ভিজুয়াল ইনফরমেশন সিস্টেম আছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অন্যান্য যাত্রীদের ন্যায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যাত্রীগণও শোনা ও দেখার মাধ্যমে সহজে মেট্রো ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছেন। যাত্রীগণের পদ স্খলনজনিত দুর্ঘটনা রোধে এবং হুইল চেয়ার ও ব্লাইন্ড স্টিক ব্যবহারের সুবিধার্থে মেট্রো ট্রেনের কোচের ফ্লোর এবং স্টেশনের প্লাটফর্ম-এর উপরিভাগ একই সমতলে রাখার নিমিত্ত মেট্রো কোচের নিচে অত্যাধুনিক এয়ার ব্যাগ সাস্‌পেনশন সংযোজন করা হয়েছে। মেট্রো কোচের বহির্ভাগ এবং প্লাটফর্মের মধ্যে সর্বত্র এমনভাবে ফাঁকা রাখা হয়েছে যাতে যাত্রীগণ নিরাপদে ও সহজে মেট্রো ট্রেনে উঠা-নামা করতে পারেন।

১১.

মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর Concourse দিয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া-আসা করা যাবে কী?  

বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল MRT Line-6 এর প্রতিটি স্টেশনে Concourse লেভেল থাকবে। Concourse লেভেলে উঠার জন্য প্রতিটি স্টেশনে সিঁড়ি, লিফ্‌ট এবং এস্কেলেটর আছে। এই সিঁড়ি, লিফ্‌ট এবং এস্কেলেটর ব্যবহার করে শুধুমাত্র মেট্রো ট্রেন চলাচলকালীন Concourse লেভেল দিয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া যাবে। তবে পেইড জোন এলাকায় ও প্লাটফর্মে যাওয়া যাবে না। পথচারীগণ রাস্তা পারাপারের জন্য এই ব্যবস্থাকে ফুট ওভারব্রীজের অতিরিক্ত সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছেন।

১২.

মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

MRT Line-6 পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উত্তরা ডিপো এবং মতিঝিল এলাকায় দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন রয়েছে। উত্তরা রিসিভিং সাবস্টেশনে পিজিসিবি এর টংগী গ্রীড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর একটি সার্কিট ও ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এর উত্তরা গ্রীড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর অপর একটি সার্কিটের মাধ্যমে এবং মতিঝিল রিসিভিং সাবস্টেশনে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর মানিকনগর গ্রীড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভি এর দুইটি পৃথক সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উভয় রিসিভিং সাবস্টেশনে ব্যাকআপ হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত (redundant) ট্রান্সফর্মার রয়েছে। উপরন্তু পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ডেসকো এর ৩৩ কেভি সাবস্টেশন হতে শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক সংযোগ নেয়া হয়েছে। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোনো কারণে কোনো সময় জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে মেট্রোরেলের Energy Storage System (ESS) হতে বিদ্যুৎ সরাবরাহ করে মেট্রো ট্রেনকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা যাবে। উল্লেখ্য, Energy Storage System (ESS) মূলতঃ ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম যা মেট্রো ট্রেনের Regenerative Braking Energy দ্বারা নিয়মিত চার্জ হয়। MRT Line-6 পরিচালনায় Overhead Catenary System (OCS)-এ ১৫০০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহৃত হয়। মেট্রো ট্রেনসমূহে Pantograph এর সাহায্যে OCS হতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

১৩.

মেট্রোরেল ও মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে কী ধরণের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত আছে?

বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে Communication Based Train Control (CBTC) System অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে Automatic Train Operation (ATO), Automatic Train Protection (ATP), Automatic Train Supervision (ATS) ও Moving Block System (MBS) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেট্রো ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপত্তার নিমিত্ত Synchronized Platform Screen Door (PSD) and Train Door এবং Internet Protocol (IP) Camera System অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপৎকালীন মেট্রোরেলের অভ্যন্তর থেকে বাহির হওয়ার জন্য জরুরি বহির্গমন দরজা রাখা হয়েছে। মেট্রোরেল স্টেশন, রুট এ্যালাইমেন্ট ও মেট্রো ট্রেনে অনাকাঙ্খিত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা হিসেবে স্বয়ংক্রিয় Sprinkler ও Water Hydrant সংযোজন করা হয়েছে। মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীগণের সুবিধার্থে Customer Relations Assistant (CRA) নিয়োগ করা হয়েছে। রোভার স্কাউটগণ Customer Assistance Facilitator (CAF) বা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বোপরি, মেট্রোরেলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র বিশেষায়িত MRT Police Force গঠনের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

১৪.

ভাড়া ব্যতীত রাজস্ব আয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল MRT Line-6 এর আওতায় কী কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?

বিভিন্ন দেশের মেট্রোরেল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র ভাড়ার আয় হতে লাভজনকভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা করা যায় না। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো মেট্রোরেল পরিচালনার পাশাপাশি মেট্রোরেলের আন্তঃলাইন সংযোগ স্টেশন, ডিপো ও প্রধান প্রধান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ক্রমান্বয়ে Transit Oriented Development (TOD) Hub এবং Station Plaza হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই বাস্তবতায় MRT Line-6 এর উত্তরা সেন্টার স্টেশন সংলগ্ন ভূমিতে TOD Hub নির্মাণের নিমিত্ত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর নিকট থেকে ২৮.৬১৭ একর ভূমি বরাদ্দ গ্রহণ করা হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্ত ভূমির মূল্য বাবদ প্রায় ৮৬৫ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা রাজউক-কে পরিশোধ করা হয়েছে। রাজউক এর একটি  প্রকল্পের মাধ্যমে Draft Concept Plan প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রণীত Draft Concept Plan এর উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য স্থাপত্য অধিদপ্তর কাজ করছে।

Dhaka MRT Network-এর প্রতিটি লাইনের প্রধান প্রধান মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় সুবিধাজনক স্থানে ন্যূনতম ৪টি করে Station Plaza গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কমলাপুর মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় Station Plaza নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম এবং বিভিন্ন সংস্থার ভূমি হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রাপ্তির কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোমধ্যে Station Plaza সমূহের Layout Plan প্রস্তুত করা হয়েছে। MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর ও কমলাপুর মেট্রোরেল টার্মিনাল স্টেশনদ্বয়ে দীর্ঘ মেয়াদে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।  

১৫.

এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণকালে পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?

MRT Line-6 এর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত জনবলের ও পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রুট এল্যাইনমেন্টে অবস্থিত সড়কের মিডিয়ানের উভয় পার্শ্ব মিলে ১৩ মিটার সড়ক Hard Barrier দিয়ে অনুপায় করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন থাকায় পল্লবী থেকে CRIDAP পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত Hard Barrier প্রত্যাহার করে নেয়ায় বিদ্যমান সড়ক পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে। সড়কের যেসকল স্থান হতে Hard Barrier প্রত্যাহার করা হয়েছে সেখানে নতুন করে মিডিয়ান তৈরী করে দেয়া হয়েছে। মিডিয়ানে রোপিতব্য সৌন্দর্য্য বর্ধন গাছের স্থায়ীত্ব রক্ষার্থে পলি মাটি দ্বারা ভরে দেয়া হয়েছে।

১৬.

উত্তরা উত্তর এবং আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন থেকে যাত্রীদের পরিবহনের কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?

উত্তরা উত্তর এবং আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন থেকে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গন্তব্যস্থানে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াত নিশ্চিত করার নিমিত্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর সঙ্গে একটি MoU স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই MoU অনুযায়ী বিআরটিসি উত্তরা উত্তর এবং আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেল চলাকালীন নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করছে।

১৭.

মেট্রোরেল ব্যবহার সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে কি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে?

অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে মেট্রোরেল সম্পর্কে জনসাধারণকে সম্যক ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে MRT Line-6 এর উত্তরা ডিপো এলাকায় Metro Rail Exhibition & Information Center (MEIC) নির্মাণ করা হয়েছে। মেট্রো ট্রেনের Mock Up উত্তরা ডিপোস্থ MEIC-তে স্থাপন করা হয়েছে। মূল মেট্রো ট্রেন সেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জনসাধারণকে মেট্রো ট্রেনের যাতায়াত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানের নিমিত্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচলে সক্ষম ০২ সেট Mini মেট্রো ট্রেন সংগ্রহ করে স্থাপন করা হয়েছে। মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে মিল রেখে Ticket Office Machine (TOM) এবং Ticket Vending Machine (TVM) উত্তরাস্থ MEIC-তে স্থাপন করা হয়েছে। মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে Smart Card Based স্বয়ংক্রিয় প্রবেশ এবং বহিরগমন গেইটও স্থাপন করা হয়েছে। পরিদর্শনের সময় দক্ষ গাইড দর্শনার্থীদের প্রত্যেকটি বিষয় বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দিয়ে থাকেন। MEIC-এর প্রদর্শনী হলে প্রদর্শনের জন্য মেট্রোরেলের অভ্যন্তরে ও মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীগণের করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়সমূহের সচিত্র উপস্থাপনা সম্বলিত ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। MEIC-এর ভিডিও প্রদর্শনী হলে একই বিষয়ে এ্যানিমেটেড কার্টুন প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়াও মেট্রোরেলের অভ্যন্তরে ও মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীগণের করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়সমূহ সম্বলিত মেট্রোগার্ল স্কুলে যায় মেট্রোরেলে চড়ে শিরোনামে একটি পুস্তিকা মূদ্রণ করে দর্শনার্থীগণের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

১৮.

বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল MRT Line-6 বায়ু দূষণ রোধে কী ভূমিকা রাখছে?

গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রে ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। মেট্রোরেল সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত বিধায় কোনো ধরণের জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানী ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে মেট্রোরেল দ্বারা বায়ু দূষণ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেট্রোরেল অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করছে বিধায় ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এতে জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানীর ব্যবহারও হ্রাস পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে MRT Line-6 এর রুট এ্যালাইনমেন্টের এই অংশে বায়ু দূষণ কমে আসতে শুরু করেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, MRT Line-6 এর সম্পূর্ণ অংশ চালু হলে এই রুটে যানবাহনের সংখ্যা কমার মাধ্যমে বছরে ২,০২,৭৬২ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে। মেট্রোরেল বায়ু দুষণ হ্রাসে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

১৯.

বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল MRT Line-6 শব্দ ও কম্পন দূষণ রোধে কী ভূমিকা রাখছে?

শব্দ ও কম্পন দূষণ রোধে MRT Line-6 বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলের Railway Track এর নিচে Mass Spring System (MSS) এবং Continuous Welded Rail (CWR) ব্যবহার করা হয়েছে। ভায়াডাক্টের উভয় পার্শ্বে শব্দ প্রতিবন্ধক দেয়াল স্থাপন করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে মেট্রোরেলে শব্দ ও কম্পন দূষণ মাত্রা মানদন্ড সীমার অনেক নিচে রয়েছে। সার্বিকভাবে শব্দ ও কম্পন দূষণে মেট্রোরেল কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

২০.

বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল MRT Line-6 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কী ভূমিকা রাখছে?

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সম্পূর্ণ জিডিপিতে ঢাকার অবদান প্রায় ৩৬ শতাংশ। ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৫০ হাজার। ২০১২ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৯ হাজার ২৫৫টি। ১০ (দশ) বছর পর এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ১৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪০৯টিতে উন্নীত হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর সড়ক ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬.১২ কিলোমিটার মাত্র। উভয়ের প্রভাবে ঢাকা মহানগরীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং ক্রমাবনতি হচ্ছে। এই যানজট এবং এর ফলশ্রুত প্রভাবে বার্ষিক প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞগণ অভিমত ব্যক্ত করছেন। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, MRT Line-6 এর সম্পূর্ণ অংশ চালু হওয়ার পর মেট্রোরেল পরিচালনাকালে দৈনিক Travel Time Cost বাবদ প্রায় ৮ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা এবং Vehicle Operation Cost বাবদ প্রায় ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে। এই সাশ্রয়কৃত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। GDP Growth Rate বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

২১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রো ট্রেন চলাচলের যে শুভ সূচনা করেছিলেন সেই মেট্রো ট্রেনের ট্রেন অপারেটর কে ছিলেন?

গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রো ট্রেন চলাচলের যে শুভ সূচনা করেছিলেন সেই মেট্রো ট্রেনের ট্রেন অপারেটর ছিলেন-

জনাব আসমা আক্তার

স্টেশন কন্ট্রোলার

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)

২২. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মেট্রো ট্রেনে ভ্রমণ করে বাংলাদেশে মেট্রোরেল যুগের শুভ সূচনা করেছিলেন সেই মেট্রো ট্রেনের ট্রেন অপারেটর কে ছিলেন?

গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মেট্রো ট্রেনে ভ্রমণ করে বাংলাদেশে মেট্রোরেল যুগের শুভ সূচনা করেছিলেন সেই মেট্রো ট্রেনের ট্রেন অপারেটর ছিলেন-

জনাব মরিয়ম আফিজা

ট্রেন অপারেটর

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)